সদর প্রতিনিধি : বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী মৎস্যজীবী দলের ৪৬ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষ্যে নারায়ণগঞ্জ জেলা মৎস্যজীবী দলের পক্ষ থেকে আনন্দ র‍্যালি ও সভা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

শুক্রবার (২৮ ফেব্রুয়ারী) বিকালে ২নং রেলগেটস্থ মহানগর বিএনপির সাবেক কার্যালয়ের সামনে থেকে বিশাল এক বর্ণাঢ্য আনন্দ র‌্যালি বের করা হয়। র‌্যালিটি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে পুনরায় ২নং রেলগেট এলাকায় গিয়ে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মধ্যদিয়ে শেষ হয়। নারায়ণগঞ্জ জেলা মৎস্যজীবী দলের সভাপতি এইচ এম হোসেন এর সভাপতিত্বে।

প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন,আব্দুর রহিম সাবেক সদস্য সচিব বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী মৎস্যজীবী দল ।

কেন্দ্রীয় মৎস্যজীবী দলের সদস্য সচিব আব্দুর রহিম বলেন, আজ জাতীয়তাবাদী মৎস্যজীবী দলের ৪৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী। এদিনে গণতান্ত্রিক আন্দোলন সংগ্রামের মাস্টার মাইন্ড তারেক রহমান গতকাল যে ঘোষণা দিয়েছেন সেই ঘোষণাকে পুনরোবৃত্তি করতে চাই। ঐক্যই সকল ষড়যন্ত্রকে মোকাবেলা করতে যথেষ্ঠ। আপনারা জানেন ইতোমধ্যে দেশী-বিদেশী ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে। বিএনপি এতটা বছর ষড়যন্ত্রকে মোকাবেলা করেই পাড় হয়েছে। কোন ষড়যন্ত্রকে বিএনপি ভয় পায় না। বিএনপি নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনই ষড়যন্ত্রকে মোকাবেলা করার জন্য যথেষ্ঠ। আমাদের মৎস্যজীবী দল সারা বাংলাদেশে যেভাবে সুসংগঠিত আছে যারা অন্ধকারের দল, যারা পিছনের দল, যারা লুটের রাজনীতি করে তাদেরকে মোকাবেলা করার জন্য আমার মৎস্যজীবী দলই যথেষ্ঠ।

তিনি আরো বলেন, ভয় পাওয়ার কোন কারণ নেই। জাতীয়তাবাদী মৎস্যজীবী দল সামনে থেকে আন্দোলনের নেতৃত্ব দিচ্ছে, বিএনপির পাশে থেকে আন্দোলন সংগ্রামে অংশগ্রহণ করছে। ইনশাআল্লাহ্ ভবিষ্যতেও জাতীয়তাবাদী মৎস্যজীবী দল গণতান্ত্রিক আন্দোলনকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য, এদেশের ভোটাধিকার পুন:প্রতিষ্ঠা করার জন্য প্রয়োজন হলে আবারও রাজপথে তাজা রক্ত ঠেলে দেবে। সারাদেশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা মৎস্যজীবী দলের প্রতিটি নেতাকর্মীদের কাছ থেকে আমি এটাই আশা করি। নারায়ণগঞ্জ জেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি জাকির খান বিনাদোষে বিনা কারণে জেলা খানায় পড়ে আছেন। আমি এ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে তার নি:শর্ত মুক্তির দাবি করছি। অবিলম্বে তার মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করে দ্রুত তাকে মুক্তি দেয়ার জোর দাবি জানাচ্ছি।

সভাপতির বক্তব্যে জেলা মৎস্যজীবী দলের সভাপতি এইচ এম হোসেন বলেন, আমার নেতা আমার অহংকার জাকির খান যখনই জানতে পেরেছেন, নারায়ণগঞ্জে মৎস্যজীবী দলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আনন্দ র‌্যালি হবে।

তখন তিনি আমাকে বলেছেন, হোসেন তুমি রহিম ভাইকে বলবে ওই লাকসাম রহিম ভাইয়ের হোম নয়, এ নারায়ণগঞ্জ রহিম ভাইয়ের সেকেন্ড হোম। এ নারায়ণগঞ্জ রহিম ভাইয়ের ঘাটি। যতদিন নারায়ণগঞ্জে জাকির খান বেঁচে থাকবে, ততদিন এ নারায়ণগঞ্জ রহিম ভাইয়ের ঘাটি থাকবে।’

হোসেন আরও বলেন, শুধুমাত্র বিএনপির করার অপরাধে আমার প্রাণপ্রিয় নেতা জাকির খানকে দিনের পর দিন কারাগারে থাকতে হচ্ছে। আমি জানিনা, নারায়ণগঞ্জে এমন আর কোন নেতা ছিলেন কি না কিংবা আছেন কি না যিনি দল করতে গিয়ে এতবেশি কারাবরণ করেছেন, এতবেশি ত্যাগ স্বীকার করেছেন। আমরা আর তাকে কারাগারে দেখতে চাই না। আমরা তার দ্রুত কারামুক্তি চাই।

উক্ত র‌্যালিতে প্রায় কয়েক হাজার মৎস্যজীবী দলের নেতাকর্মী ও সমর্থকরা অংশগ্রহণ করে। র‌্যালিতে দলীয় ও জাতীয় পতাকার পাশাপাশি রঙ বেঙয়ের ব্যানার, ফ্যাস্টুন, প্লাকার্ড, বাদ্যযন্ত্র ও ডিজিটাল সাইন্ড সিস্টেম শোভা পায়। এছাড়া হাজার হাজার নেতাকর্মীদের স্লোগানে স্লোগানে মুখরিত হয়ে উঠে গোটা নগরী।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী মৎস্যজীবী দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক অধ্যাক্ষ সেলিম ভূঁইয়া, জাকির হোসেন খান, ওমর ফারুক পাটোয়ারী, আবুল বাশার, সদস্য মাহবুব সিকদার, ঢাকা মহানগর দক্ষিন মৎস্যজীবী দলের সদস্য সচিব কেএম সোহেল রানা, মুন্সীগঞ্জ জেলা মৎস্যজীবী দলের সভাপতি আনোয়ার হোসেন, নারায়নগঞ্জ সদর থানা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক লিংকন খান, নারায়ণগঞ্জ জেলা মৎস্যজীবী দলের সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন ইমরান, সিনিয়র সহ সভাপতি মুন্সী মো শাহজালাল, যুগ্ম আহ্বায়ক মো সাইফুল, সাংগঠনিক সম্পাদক মোহাম্মদ আল আমিন হৃদয়, সহ সভাপতি মো ফজলু, মহানগর মৎস্যজীবী দলের যুগ্ম আহ্বায়ক কাঞ্চন আহম্মদ, মীর রাজিব, মো: খোকন, হাজী সোহেল ফতুল্লা থানা, বন্দর উপজেলা, আড়াইহাজার উপজেলা ও রূপগঞ্জ উপজেলাসহ আরও অনেক নেতাকর্মী প্রমুখ।