নারায়ণগঞ্জ কথা ডট কম : নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মডেল গ্রুপের কর্ণধার ও বিএনপি নেতা মাসুদুজ্জামান মাসুদ এর উদ্যোগে মশক নিধন কার্যক্রমের উদ্বোধন, সার্বক্ষণিক অ্যাম্বুলেন্স সেবা চালু অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
রবিবার ( ৫ অক্টোবর ২০২৫ইং) সকাল ১১ টায় নারায়ণগঞ্জ খানপুর হাসপাতালে এ মশক নিধন কার্যক্রমের উদ্বোধন, সার্বক্ষণিক অ্যাম্বুলেন্স সেবা চালু অনুষ্ঠিত হয়। এবং খানপুর হাসপাতাল পরিদর্শন করেছেন।
মাসুদুজ্জামান মাসুদ বলেন, “বর্তমানে নারায়ণগঞ্জ শহরে ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়ার সংক্রমণ আশঙ্কাজনক হারে বাড়ছে। প্রায় প্রতিদিন হাসপাতালে ডেঙ্গু আক্রান্ত গুরুতর রোগীদের ভর্তি হতে দেখা যাচ্ছে। অনেকেই হাসপাতালে পর্যাপ্ত বেড না পেয়ে মেঝেতে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
অথচ এখন পর্যন্ত সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ কোনো কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি। সরকারের চরম অবহেলা এবং উদাসীনতার কারণে ডেঙ্গু পরিস্থিতি নারায়ণগঞ্জে মহামারির রূপ নিতে যাচ্ছে।” তিনি অবিলম্বে নারায়ণগঞ্জকে ‘ডেঙ্গু রেড জোন’ ঘোষণার দাবি জানিয়ে দ্রুত চিকিৎসা, প্রতিরোধ এবং সচেতনতা কার্যক্রমে বিশেষ বরাদ্দ দেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি।
জনগণের দুর্ভোগ লাঘবে তাঁর নাগরিক উদ্যোগের কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, “আমরা হাত গুটিয়ে বসে থাকিনি। নাগরিক উদ্যোগে ইতোমধ্যে চারটি আধুনিক ফগার মেশিন সংগ্রহ করেছি, যা প্রতিদিন শহর ও বন্দর এলাকার বিভিন্ন ওয়ার্ডে ব্যবহৃত হচ্ছে। এ ছাড়া এই কার্যক্রম পরিচালনার জন্য ৯ জন স্বেচ্ছাসেবককে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে, যারা নিরলসভাবে মশক নিধন কার্যক্রমে যুক্ত আছেন।”
তিনি আরও বলেন, খানপুর হাসপাতাল পরিদর্শন করে ডেঙ্গু রোগীদের চিকিৎসা পরিস্থিতি সরেজমিনে পর্যবেক্ষণ করা হয়েছে এবং হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে সহায়তা নিশ্চিত করার পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। রোগীদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য ভিটামিন-সি জাতীয় ফলমূলও সরবরাহ করা হয়েছে। জরুরি অবস্থায় দ্রুত সেবা নিশ্চিত করতে ড্রাইভারসহ একটি অ্যাম্বুলেন্স ২৪ ঘণ্টা প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
মাসুদুজ্জামান মাসুদ অতীতেও জনগণের পাশে থাকার কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে বলেন, “আমরা অতীতেও নারায়ণগঞ্জের মানুষের পাশে ছিলাম। করোনাকালে আমি ও আমার সহযোদ্ধারা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে মানুষের ঘরে ঘরে খাবার, ওষুধ পৌঁছে দিয়েছি। সুপেয় পানির সংকট মোকাবেলায় আমি ব্যক্তিগত অর্থায়নে বিভিন্ন এলাকায় গভীর নলকূপ স্থাপন করেছি। ট্রাফিক সমস্যা সমাধানে এবং রাস্তাঘাটে স্বস্তি ফেরাতে স্থানীয় প্রশাসনকে সহযোগিতা করেছি। আমাদের লক্ষ্য একটাই এই শহরকে বাসযোগ্য করে গড়ে তোলা এবং জনস্বার্থে কাজ করা।”যখন ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়ার সংক্রমণ আশঙ্কা জনক ভাবে বাড়ছে, আমি নারায়ণগঞ্জের জনগণের পাশে থাকার দৃঢ় প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি।
এ সময় আরো বক্তব্য রাখেন নারায়ণগঞ্জ কৃষকদল সভাপতি এনামুল হক খন্দকার (স্বপন), নারায়ণগঞ্জ যুবদল সভাপতি মনিরুল ইসলাম সজল, স্বেচ্ছাসেবক দল সভাপতি সাখাওয়াত ইসলাম রানা, নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির যুগ্ম-আহ্বায়ক আনোয়ার হোসেন আনু এবং নারায়ণগঞ্জ খানপুর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক (সুপারিনটেনডেন্ট) ডা. মো. আবুল বাশার। এছাড়াও অনুষ্ঠানে বিএনপির অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দরা উপস্থিত ছিলেন।