স্টাফ রিপোর্টার: ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ নারায়ণগঞ্জ মহানগরের সহ-সভাপতি নূর হোসেনের উপর সন্ত্রাসী হামলার প্রতিবাদ ও হামলাকারীদের গ্রেফতারপূর্বক দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে ১৫ জানুয়ারী বুধবার বিকেল ৩টায় বন্দর শাহী মসজিদ এলাকায় প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ২১নং ওয়ার্ডের সভাপতি মুহাম্মদ ইমাম হোসনের সভাপতিত্বে প্রতিবাদ সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ঢাকা বিভাগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মুফতি দেলাওয়ার হোসাইন সাকী।
প্রধান বক্তা ছিলেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ নারায়ণগঞ্জ মহানগরের সভাপতি মুফতি মুহাম্মদ মাসুম বিল্লাহ। বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন মাওলানা দ্বীন ইসলাম,মুফতি হাবিবুল্লাহ হাবিব,মুহাম্মদ জাহাঙ্গীর কবির,মুহাম্মদ সুলতান মাহমুদ,মুহাম্মদ রবিউল ইসলাম,এইচ এম শাহিন আদনান।
প্রতিবাদ সমাবেশে সার্বিক ব্যবস্থাপনায় ছিলেন মুহাম্মদ আবুল হাসেম,মুহাম্মাদ নজরুল ইসলাম মাষ্টার, বন্দর শাহী মসজিদ পঞ্চায়েত কমিটির সভাপতি সাবেক কাউন্সিলর আলহাজ্ব হান্নান সরকার,শাহী মসজিদ মার্কেট কমিটির সহ-সভাপতি আফতাবউদ্দিন ওসাধারণ সম্পাদক শেখ কামাল।
সভায় বক্তারা বলেন, আমরা প্রশাসনের উপর আস্থা রাখতে চাই। আমরা সংঘাত চাই না। তবে এই পরিকল্পিত হামলাকারীদের অবশ্যই খুঁজে বের করে গ্রেফতার করতে হবে। মনে রাখতে হবে, জুলাইয়ের বিপ্লবের রক্ত এখনো শুকায় নাই।
জুলাই আন্দোলনের আমেজ এখনো শেষ হয়ে যায় নাই। অপরাধীরা যদি অধরা থাকে তাহলে পুনরায় সেই আন্দোলনের দাবানল জ্বলে উঠবে, ইনশাআল্লাহ। নূর হোসেনের উপর হামলাকারীদেরকে আগামী ২৪ ঘন্টার মধ্যে গ্রেফতার না করা হলে থানা ঘেরাও থেকে শুরু করে আরো কঠিনতর কর্মসূচী গ্রহণ করা হবে। ফ্যাসিষ্ট সরকারের দোসরদেরকে আমরা কোনভাবেই ছাড় দিবোনা। তারা কোন গুহায় লুকিয়ে থাকলেও তাদেরকে টেনে হিঁচড়ে বের করে নিয়ে আসবো আমরা নূর হোসেনের হত্যা চেষ্টাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।
প্রধান বক্তা মুফতি মাসুম বিল্লাহ বলেন, অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদী কণ্ঠস্বর ছিলেন নুর হোসেন ভাই। এলাকায় মাদক ও চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে সোচ্চার ছিলেন তিনি। এ কারণেই মাদকসেবী ও চাঁদাবাজরা সন্ত্রাসী কায়দায় তার উপর হামলা করেছে। ছাত্র জনতার আন্দোলনে ফ্যাসিস্ট সরকারক উৎখাত হয়েছে।
শায়খে চরমোনাই ৪ তারিখ ঘোষণা দিয়েছিলেন গণভবন দখল করার। ঠিক পরের দিন ৫ আগস্ট পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙ্গে গণভবন অভিমুখে রওয়ানা হয়েছিলেন যেটা মিডিয়া ও জনগণ স্বাক্ষী। আমরা প্রশাসনকে বলতে চাই, অনতিবিলম্বে আসামীদের গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিন। অন্যথায় ধৈর্যের বাধ ভেঙ্গে গেলে সেটার দায় প্রশাসনকেই নিতে হবে।